মিখাইল ভ্লাসভ্ কে ছিলেন? তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। Father character in Maxim Gorky's novel 'Mother'
ম্যাক্সিম গোর্কির 'মা' উপন্যাসের বাবা চরিত্রটি সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
মালিক পক্ষের সাথে তাদের সম্পর্কটি ভালো না থাকায় উপার্জন তেমন একটা ভালো ছিল না। ছুটির দিনে সে কাউকে না কাউকে প্রহার করবেই । পাল্টা কেউ তাকে আঘাত করে নি- বরং সবাই চেষ্টা করেছে তার থেকে দূরে থাকতে।
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তার ক্ষুদে চোখ দুটি- ভয়লেশহীন চোখে কারো দিকে তাকালে তার পিলে চমকে যায়। শুড়িখানায় সে নিয়মিত মদ পান করতো এবং হাঙ্গমা বাঁধাতো। কারখানায় অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে তার দেহ-মনে এক ধরনের গ্লানি ভর করে।
বিয়ের পর থেকেই সে তার স্ত্রী নিলভ্নার উপর নানারকম অত্যাচার করে আসছে। সে নিলভ্নাকে 'কুত্তী' ছাড়া ডাকে না। খাবার পরে বাসনকোসন সরাতে একটু দেরি হলে টান মেরে সব মেঝেতে ফেলে দিত।
রাতে এক বোতল ভোতকা নিয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে তা পান করতো এবং চোখ বুজে গান ধরতো । তার গানের কথা একটিও বুঝা যেতো না এবং সুরটাকে মনে হতো নেকড়ে বাঘের কান্না।
ভ্লাসভ ছিলেন একজন মদ্যপ এবং নিয়মিতভাবে শুড়িখানায় হাঙ্গামা বাঁধাতেন। তিনি রাগান্বিত হলে সহজেই হিংস্র হয়ে উঠতেন এবং তার পরিবার ও সহকর্মীদের উপর নির্যাতন করতেন।
ভ্লাসভের জীবন ছিল দুঃখ ও হতাশায় ভরা। কারখানায় কঠোর পরিশ্রম এবং শোষণের কারণে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই সবকিছুই তাকে আরও বেশি মদ্যপ ও হিংস্র করে তুলেছিল। তার পারিবারিক জীবনও ছিল অসুখী।
পাভেল একবার তার দিকে হাতুড়ি তুলেছিল - একারণে সে মৃত্যুর দুবছর আগে পাভেলের সাথে একটি কথাও বলে নি। ভ্লাসভ নাড়ি ছিঁড়ে, বিছানায় পাঁচদিন ছটফট করে মারা যায়। তার মৃত্যুতে মানুষেরা বলাবলি করতে থাকে 'পেলাগোয়া নিলভ্না' এবার বাঁচল।
'মুখরা রমনী বশীকরণ' নাটকের ক্যাথরিনা চরিত্র:এক মুখরা রমনীর রূপান্তরগাথাKatherina: The Taming of the Shrew |
|
চোখের বালি উপন্যাস অবলম্বনে |
No comments