Header ads

“একেই কি বলে সভ্যতা?” প্রহসনের আলোকে নবকুমার চরিত্রের বর্ণনা দাও

 

“একেই কি বলে সভ্যতা?” প্রহসনের আলোকে নবকুমার চরিত্রের বর্ণনা দাও।

  

ভূমিকা: ‘শর্মিষ্ঠা’(১৮৫৯) নাটকের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩) রচনা করেন প্রহসন ‌‘একেই কী বলে সভ্যতা?’(১৮৬০) । কোলকাতায় হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অধ্যাপক ডি রোজিওর নেতৃত্বে আধুনিক নব্য শিক্ষিত এক শ্রেণি যুবকের আর্বিভাব ঘটে, যাদেরকে ইয়ং বেঙ্গল বলা হয়। সে সমস্ত যুবকেরা আধুনিত এবং প্রাচ্যাত্য ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজের অবিচার, মদ্যপান, বারবণিতা এবং বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক ক্রিয়া-কর্মের যে সূচনা করেন তার বর্ণনা ফুটে ওঠেছে প্রহসনটিতে। উনিশ শতকে সমাজে দেখা দেয় নব জাগরণ, যেটাকে আমরা বাংলার রেঁনেসা বলে থাকি বা বাংলার পূণ:জাগরণ। এই প্রহসনটিতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত দেখিয়েছেন সেই সময়ের ইয়ং বেঙ্গল গ্রুপটি আধুনিক ও অনুকরণপ্রিয় ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কীভাবে সেই সময়ে সমাজে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক ক্রিয়া-কলাপে লিপ্ত ছিল। ‘একেই কি বলে সভ্যতা?’ প্রহসনটি একদিনের ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। প্রহসনটি মাত্র দুই অঙ্কে বিভক্ত। কিন্তু ছোট্ট পরিসরের মধ্য দিয়েই আমরা একটি সমাজ-বাস্তব চিত্র দেখতে পাই। যেখানে আমরা দেখতে পাই ইয়ং বেঙ্গল আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, সমাজে বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে। এদেরই একজন প্রিতনিধি নবকুমার যিনি সবার কাছে নববাবু বলে সমাদ্রিত যা এই এই প্রহসনের প্রধান চরিত্র।  এই প্রহসনটির শুরুতেই আমরা দেখতে পাই আধুনিক ও নব্য শিক্ষিত নববাবু ও তার বন্ধু কালীনাথ বাবুর কথোপকথন।  

 

নবকুমার চরিত্র :  প্রহসনে ঘটনাই প্রধান এবং চরিত্রগুলি টাইপধর্মী। ‘একেই কি বলে সভ্যতা?’র প্রধান চরিত্র নবকুমার, তাকে কেন্দ্র করেই প্রহসনের কাহিনী আবর্তিত এবং পরিণতিও তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সেই তৎকালীন নব্যবঙ্গ সমাজের অন্যতম প্রতিনিধি। এ প্রসঙ্গে প্রমথনাথ বিশী তাঁর ‘বাংলা সাহিত্যে নরনারী' গ্রন্থে বলেছেন—

 

                       “একেই কি বলে সভ্যতার নায়ক নববাবু একটা শ্রেণীরূপের প্রতিনিধি।

এমনকি নববাবু যে-কোনো ব্যক্তির নাম নয়, ইংরাজি-পড়া নতুন নববাবুর দল বা ইয়ংবেঙ্গল, তাহা তৎকালীন লোকেরাও বুঝিয়াছিলেন।”

 অবশ্য সমালোচকের উক্ত বক্তব্য সমগ্রত সমর্থনীয় নয়।

নবকুমার চরিত্রের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে অশোককুমার মিশ্র তাঁর ‘বাংলা প্রহসনের ইতিহাস’ গ্রন্থে বলেছেন– 

(১) “নবকুমার কেবলমাত্র ইয়ংবেঙ্গলের শ্রেণী প্রতিনিধি নয়, তার মধ্যে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য বোধ স্পষ্ট।”

(২) “ইয়ংবেঙ্গলদের ব্যঙ্গ করা নয়, অত্যাধিক মদ্যপানের বিরোধিতা করাই নাট্যকারের অভিপ্রেত ছিল। সে কারণেই নাটকের মধ্যে বার বার মদ্যপানের কথা আছে। 'জ্ঞানতরঙ্গিনী সভা’ দৃশ্যে বারাঙ্গনা উপস্থিত থাকলেও মদ্যপানের চিত্রই সেখানে গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপিত করা হয়েছে। কর্তামশায় নবকুমারকে নির্লজ্জ বলে ধিক্কার দিলে সে বলেছে, 'ড্যাম লজ্জা, মদ ল্যাও।' এবং নাটকের পরিসমাপ্তিতে বিষাদের করুণ সুর যখন উচ্ছ্বসিত, হাস্যতরঙ্গের অভ্যন্তরে ফল্গুস্রোতে বহমান তখন নবর স্ত্রী বলেছে, ‘মদ মাস খ্যেয়ে ঢলাঢলি কল্পেই কি সভ্য হয়”?

 

কোনো কোনো সমালোচক নবকুমার চরিত্রের মধ্যে মধুসূদনের আত্মপ্রতিফলন লক্ষ্য করেছেন। যেমন ক্ষেত্র গুপ্ত তাঁর ‘নাট্যকার মধুসূদন’ গ্রন্থে বলেছেন—

                           “নবকুমার চরিত্রের মধ্যে স্বয়ং কবির আত্মপ্রতিফলন ঘটেছে এরূপ মনে করা অযৌক্তিক নয়। নবকুমারের চরিত্রের অনেকগুলি বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মধুসূদনের সাদৃশ্য আছে। নবকুমারের বেশ্যাসক্তি মধুসূদনের নেই। আর মধুসূদনের প্রতিভার উজ্জ্বল দীপ্তি থেকে নবকুমার একেবারে বঞ্চিত। তবে জ্ঞানতরঙ্গিনী সভার নেতৃত্বপদ লাভ করার মধ্য দিয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে নবকুমার সাধারণের কিছু ঊর্ধ্বে। যদিও মধুসূদনের ন্যায় অত্যুচ্চ প্রতিভার সঙ্গে তার তুলনাই চলে না। নবকুমারের চরিত্রে শ্রেণি স্বভাব যতটা প্রকট, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ততটা নয়। শ্রেণির পরিচয়ে মধুসূদনের ব্যক্তিত্বের সমগ্রতা ধরা অসম্ভব। তবুও নবকুমারের মধ্য দিয়ে যে ধরনের চরিত্র বৈশিষ্ট্য ও সামাজিক জীবনাদর্শের প্রতি তিরস্কার বাণী উদ্যত করেছেন কবি, তিনি নিজে ছিলেন তার এক প্রধান প্রতিনিধি। নবকুমারের মাধ্যমে তার আত্মতিরস্করণ ঘটেছে।”

 

নবকুমার সম্পূর্ণরূপে  তার শ্রেণিচরিত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, তাকে অতিক্রম করে তার ব্যক্তি লক্ষণও অনেকাংশে ফুটে ওঠেছে। নবকুমার চরিত্রে আমরা যে বিশেষ দিকগুলো দেখতে পাই তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো –

 

পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত: নবকুমার কলেজে পড়া তরুণ নবযুবক; সে পাশ্চাত্য ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত। সে তার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চায়। তারই জন্য সে গড়ে তুলেছে জ্ঞানতরঙ্গিনী সভা।

 কুসংষ্কারমুক্ত: নবকুমার সামাজিক কুসংস্কারমুক্ত। সে অন্যান্য অনেকের মত হিন্দুসমাজের নানা কুসংস্কার থেকে মুক্তি পেতে চায়। সে পুত্তলিকা দেখে হাঁটু নোয়াতে চায় না; সামাজিক সংস্কারই তার একমাত্র কাম্য।

 নারীশিক্ষা ও বিধবা বিবাহের সমর্থক: নবকুমার মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার দেখতে চেয়েছে এবং বিধবা-বিবাহ আন্দোলনও তার পরিচিত। মধুসূদন- সমকালীন বাংলাদেশে যে প্রগতিশীল সমাজসংস্কারমূলক আন্দোলন নবকুমারের বিদ্যোৎসাহিতা ও সমাজসংস্কার আন্দোলন তার দ্বারা প্রভাবিত।

 স্বাধীনচেতা: সমাজের প্রচলিত কুসংস্কার থেকে মুক্ত হবার জন্য সে পূর্ণ স্বাধীনতা পেতে চায়। তার কাছে পূর্ণ স্বাধীনতার অর্থ মদ্যপান, বারবিলাসিনী গমন, খেমটা নাচ উপভোগ ও নিষিদ্ধ খাদ্যভক্ষণ।

 ভোগবিলাসী: প্রহসনে নবকুমারের ভূমিকা বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, সে ভোগবিলাসী, স্ফূর্তিতে নিমজ্জিত, বারাঙ্গনাসঙ্গ কামনায় উৎসুক এবং মদ্যপায়ী। সে ইন্দ্রিয়সুখে আকণ্ঠ নিমজ্জিত।

 স্বেচ্ছাচারিতা: নবকুমার এবং তার সঙ্গীসাথীদের ভাষা বিশুদ্ধ বাংলা বা ইংরেজি নয়; জগাখিচুড়ি। তাদের কেউই স্বদেশি ঐতিহ্য সংস্কৃতির ধার ধারে না। তারা জীবন উপভোগ বলতে বোঝে স্বেচ্ছাচার। নবকুমার এবং তার সঙ্গীরা প্রমত্ত ভোগবাসনাকে মহত্ত্ব প্রদানের জন্য জ্ঞানতরঙ্গিনী সভা প্রতিষ্ঠা করেছে যার অন্তরালে আসলে চলে নানা কুকর্ম ।

 অর্থদাতা:  জ্ঞানতরঙ্গিনী সভার অন্তরালে চলা কুকর্মের অর্থ যোগায় স্বয়ং নবকুমার। সেখানে নবকুমার পিতৃঅর্জিত টাকা প্রদান করে। প্রহসনের অন্যতম চরিত্র কালীনাথ বাবুর কথায়ও তা ফুটে ওঠে - 

                                “এই নব আমাদের সদ্দার, আর মনি ম্যাটারে এই বিশেষ সাহায্য করে; এ ছাড়লে যে আমাদের সর্ব্বনাশ হবে, তার সন্দেহ নাই।“

 মাতাল নবকুমার: ‘জ্ঞানতরঙ্গিনী সভা'য় যে অনুষ্ঠান হয় সিকদার পাড়ার গলিতে সেখানে শুধুই বারবিলাসিনীদের নৃত্যগীত, মদ্যপান, খেমটা নাচ উপভোগ ইত্যাদি। তারপর রাত্রে মাতাল হয়ে ফিরে এসে নবকুমার ইংরাজি কায়দায় ভগ্নীকে চুম্বন করে। পিতার সম্মুখেই সে ব্র্যাণ্ডির জন্য চাকরকে বলে; পিতার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করে।

 চাতুরতা: নবকুমারের পিতা ভক্ত বৈষ্ণব বৃন্দাবন থেকে প্রত্যাগমন করায় সে বেশ অসুবিধায় পড়েছে। সে পিতাকে সমীহ করে, ভয় করে, প্রকাশ্যে তাকে উপেক্ষা করার সাহস তার নেই। বাইরে বেরনো তার মুস্কিল হয়ে পড়ে। পিতা তাকে সন্দেহ করে তার সহচর বৈষ্ণববাবাজীকে তাদের ‘জ্ঞানতরঙ্গিনী সভা'র খোঁজে পাঠান। পিতার অসাক্ষাতে সে বন্ধুকে মদ খাওয়ায়, পান খাইয়ে মদের গন্ধ ঢাকতে বলে। সে পিতার দুর্বলতা কোথায় জানে। তাই শ্রীমদ্ভাগবদগীতা বা জয়দেবের নাম উল্লেখ করতে শিখিয়ে দেয়। কালীনাথ যখন বৈষ্ণবাবাজীকে কাটলেট চপ ইত্যাদি খাওয়াবার কথা বলে তখন সে বুদ্ধি ও চাতুর্যের দ্বারা উৎকোচ দিয়ে বাবাজীর মুখ বন্ধ করতে চায়।

 

নেতৃত্ব: নবকুমার ‘জ্ঞানতরঙ্গিনী সভার’ মধ্যমণি; তার বন্ধুরা তার সমালোচনা করলেও নেতৃত্ব স্বীকার করে নেয়। সে বাসর্বস্ব ভোগবাদী চরিত্রহীন যুবক হলেও তার নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা আছে। ‘নবকুমারের প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, বুদ্ধির প্রাচুর্য ও বাস্তবতাবোধের পরিচয় মেলে পিতৃপ্রেরিত চর বৈষ্ণবগোঁসাইয়ের হাতে ধরা পড়ার পর।

 অন্ধ বিলেতিয়ানা: বিদেশী সংস্কৃতি অন্ধ অনুকরণের প্রভাবেই সে খেমটা নাচকে ‘বল নাচ’ বলে অভিহিত করে বলে:

                                             “কম, ওপেন দি বল, মাই বিউটিস ।“

বারাঙ্গনাকে আহ্বান জানায় বিলেতি রীতিতে –

                          “ও পয়োধরী, তুমি, ভাই, আমার আরম্ নেও।“

এসবের রেশ বাড়িতে এসও চায়। বোনের গালে সে চুমো খেতে চায়। বোন আপত্তি করলেই যুক্তি দেখায়,

         “সায়েবরা যে বোনের গালে চুমো খায়, আর মরা কল্লেই কি দোষ হয় ?”

 কথা ও কাজে অসংঙ্গতি: নবকুমার মুখের কথায় সে “বিদ্যাবলে সুপরষ্টিশনের শিকলি কেটে ফ্রী” হওয়ার কথা অনায়াসে বলে । এখানে ‘বিদ্যাবল’ মানে যুক্তিবাদের প্রতিষ্ঠা আর ‘ফ্রী’ হওয়া অর্থ মানসিক সংকীর্ণতা থেকে মুক্তিলাভ। কিন্তু তার পরবর্তী উক্তিতেই এর তাৎপর্য  ধরা পড়েছে –

            “জেন্টেলম্যেন, ইন দি নেম্ অব ফ্রীডম, লেট, অস এঞ্জয় আওরসেলভস”

পরক্ষণেই সূরা আর সাকীর কদর্য স্রোতে মত্ত হয়ে প্রমাণ করেছে শব্দটির ব্যবহারিক তাৎপর্য। প্রহসনের শেষ দৃশ্যে মত্ত হয়ে বাড়ি ফিরে নবকুমার যখন নানা উৎপাত শুরু করল তখন তার স্ত্রী হরকামিনী প্রসন্নর কাছে একান্তে বলেছিল,    

                          “হায়, এই কলকেতায় যে আজকাল কত অভাগা স্ত্রী আমার মতন এইরূপ যন্ত্রনা ভোগ করে তার সীমা নাই।“……. তোকে বলতে কী ভাই, এসব দেখে শুনে আমার ইচেছ করে গলায় দড়ি দে মরি ।“ 

 আর নববাবুর বাড়ি ফেরার ঠিক পূর্ব মুহূতেই সে আর একবার প্রসন্নকে পরিহাস করে বলেছিল,

                   “ঠাকুরঝি, তুই ভাই তোর দাদাকে নে না কেন? আমি না হয় বাপের বাগি গিয়ে থাকি; তোর ভাতার তো তোকে একবার মনেও করে না।“

 

হরকামিনীর এই উক্তি দুটো একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে  সে উচ্ছৃঙ্খল স্বামীর ঘরে বন্দিনীর জীবন যাপন করছিল, তাই সে হয় বাপের বাড়ি গিয়ে, নয় গলায় দড়ি দিয়ে মুক্তি পেতে চেয়েছে। আর তার আদিরসাত্মক মন্তব্য এবং উচ্চারণভঙ্গি প্রমাণ করে সে যথেষ্ট শিক্ষিতা নয়। নবকুমার তার বক্তৃতায় বলেছিল,

           “তোমাদের মেয়েদের এজুকেট কর – তাদের স্বাধীনতা দেও।“

অথচ ঐ নারীশিক্ষা ও স্ত্রীস্বাধীনতার আলোক থেকে তার নিজের ঘরই বঞ্চিত থেকে গেছে।

 

পরিশেষ: নবকুমার চরিত্রের দুটি পর্যায়। প্রথম পর্যায়ে সে ভদ্র, বিনয়ী, পিতৃভক্ত, সদ্বংশজাত সন্তানের মতই তার আচরণ। মদ্যপানকে সে ঘৃণিত কাজ বলে মনে করে না, কিন্তু গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধান্বিত।

আবার দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘জ্ঞানতরঙ্গিনী সভা’ থেকে ফেরার পর সে অসংযত, বাচাল, অপরিণামদর্শী ও বাস্তবতা বোধহীন চরিত্র।' পিতৃশিক্ষা তার জীবনে কার্যকরী হয়নি বলে পিতা তাকে ‘কুলাঙ্গার’ বলেছেন। নবকুমারের মধ্য দিয়ে ইংরাজি শিক্ষার অসারতাও প্রমাণিত হয়েছে। একেই কি বলে সভ্যতা?’ প্রহসনে নবকুমার চরিত্র এক অসংগতির নামাবলী। “আধুনিক নগরজীবী সভ্যতার এই অন্তঃসারশূন্যতা ও বৈপরীত্যই নবচরিত্রের মধ্য দিয়ে নাট্যকার ফুটিয়ে তুলেছেন। নবকুমারের চরিত্রে কোনো দ্বন্দ্ব নেই, সংকট নেই – নব একদিকে ব্যক্তিচরিত্র, অন্যদিকে শ্রেণীর প্রতিনিধি।”

 



No comments

Theme images by Maliketh. Powered by Blogger.